Physical Address
304 North Cardinal St.
Dorchester Center, MA 02124
হারিয়ে যাবে কি রত্নভান্ডার
ভাবনাঃ(১) কয়েকদিন থেকে একটি বিষয় মাথার করোটিতে ঘুরপাক খাচ্ছে ৷ বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ৷ বিষয় অন্যকেউ ভাবছেন কি না জানি না ৷ তবে আমাদের বড়দের অন্তরে উদয় হলে আমরা বেশী উপকৃত হতাম ৷ বিষয়টি হলঃ “হারানো ইসলামী সাহিত্য পূণরূদ্দার “ও “একটি সমৃদ্ধশালী লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা “৷ আমরা মুসলিম ৷ আমরা শ্রেষ্ঠ জাতি ৷ আমাদের আছে সোনালী ইতিহাস, গর্বিত ঐতিহ্য ৷ আরো আছে আদর্শ শিক্ষা- সংস্কৃতি ৷ আলোকিত সাহিত্য -ভূবন ৷ আমরা কোন বিষয়ে অন্যের প্রতি মুখাপেক্ষী নই ৷ সর্ব বিষয়ে আছে নিজস্ব স্বকীয়তা ৷
আমাদের অনেকেই হীনমন্যতায় ভোগে ৷ মনে করে বাংলা সাহিত্যে আমাদের কোন উল্লেখযোগ্য অবদান নেই ৷ ধারনা টা একেবারেই ভুল ৷ আমাদের পূর্ব পুরুষরা তৈরী করেছে এক আলোকিত সাহিত্য-জগত ৷ যার আকাশে ঝলমল করে জ্বলছে একদল সাহিত্য-তারকা ৷ যে সকল উজ্বল নক্ষত্রকে দেখে দেখে বাঙালী জাতি আজ ও সাহিত্যের পথ পাড়ি দেয় ৷ শিষ্যত্ব বরণ করে ধন্য মনে করে ৷ শত শ্রদ্ধার সাথে ছাত্রত্ব গ্রহন করে তাদের রচনাবলীর ৷ গর্ব ভরে স্বরণ করে তাদের উজ্বল কৃতিত্বের ৷
কিন্তু সমস্যা হল অনেক ৷ আমরা নবীন প্রজন্ম লেখালেখি শিখবো প্রবীনদের রচনা পড়ে ৷ যাদের লেখার পরতে পরতে মিশে আছে ঈমানী চেতনা ,ধর্মীয় বিশ্বাস ৷ ইসলামী ঐতিহ্য যাদের লেখার উৎস ৷ যাদের লেখা আমাদের দেখাবে সুন্দর উজ্জল আলোকিত জীবনের পথ ৷ হ্যাঁ, হিন্দুদের রচনা থেকে ভাষা ও সাহিত্য পাওয়া যাবে ৷ কিন্তু পাওয়া যাবে না কোন আদর্শ শিক্ষা ৷ ইসলামী সভ্যতার কোন বার্তা ৷ কিন্তু পরিতাপের বিষয় হল আমাদের সেই মহান পূর্বপুরুষদের রেখে যাওয়া সাহিত্য ভান্ডার আজ আমরা হারাতে বসেছি ৷ হারাব নাই বা কেন? কোন দিন কি কেউ তা সংরক্ষণের ব্যপারে চিন্তা করেছি ৷ যত্নবান হয়েছি ৷ আসলে আমরা তো হারিয়ে আফসোস করার জাতি ৷ হাতের কাছে থাকতে কোন মূল্যায়ন করতে জানি না ৷
যাক মূলকথা হল আজ আমরা পূর্বের মুসলিম কবি সাহিত্যিকদের মূল্যবান রচনাবলী হারিয়ে ফেলতে চলছি ৷ আর দিনদিন তা দুর্লভ হতে হতে বিলুপ্তির পথে হাটছে ৷ এখন তাদের পুস্তকাদি দুষ্প্রাপ্যের তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৷ খুঁজলে ও সহজে কোথাও পাওয়া যায় না ৷ এবিষয়ে আরবদের থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত ৷ আরবরা শুধু চৌদ্দ শত বছরের সাহিত্য সংরক্ষণ করেনি ৷ বরং তার ও পূর্বের জাহেলী যুগেরটাও সংরক্ষণ করেছে ৷ আর আমাদের পূর্ব পুরুষরা তো আমাদের হাতে তাদের রচনাসমগ্র আমানত রেখেছিল ৷ আমরা কি সেই মহা আমানত সংরক্ষন করব না ? আজ আমরা যদি সংরক্ষণ না করি ৷ তাহলে করবে কে? নাস্তিকরা ৷ আরে ওরা তো চায় এদেশে ইসলামী সাহিত্যের বিনাশ ঘটুক ৷ ধ্বংসের নিশান উড়ুক ৷
কারন ধর্ম ওদের পথের কাঁটা ৷ অন্তরের জ্বালা ৷ তারা তো এদেশে রবীন্দ্র, বঙ্কিম, শরৎও রায়দের মতাদর্শ প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ৷ পৌত্তলিক সাংস্কৃতির বিকাশে বদ্ধপরিকর ৷ আর এমনিতে ও তাদের কাছে আশা করা যায় না ৷ কারন তাদের রুচির বিকৃতি ঘটেছে ৷তাই সত্য, সুন্দর ,সামাজিক ও মানবিক সাহিত্যের কোন দাম নেই ওদের কাছে ৷ সুতরাং এ দায়িত্ব আমার ৷ আপনার ৷৷৷ সকল মুসলমানের৷৷৷৷ আর আপনি যতই প্রতিষ্ঠিত সাহিত্যিক হোন না কেন! তাদের গ্রহনযোগ্যতার কাছে আপনি গৌণ ৷ কারন ওরা নাস্তিক আস্তিক সবার কাছে সমান গ্রহনযোগ্য ওস্বীকৃত ৷ সাথে সাথে তারা প্রতিষ্ঠিত ও প্রসিদ্ধ ৷ তাই আসুন! আমরা পুরাতন সাহিত্য ভান্ডার সংগ্রহে ও সংরক্ষণে সচেষ্ট হই ৷ কাজটি কোন প্রতিষ্ঠানের অধীনে হলে ফলপ্রসু হবে ৷ যেমন আমাদের ক্বওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকের অধীনে ৷
অথবা কোন নতুন ইসলামীক একাডেমী তৈরী করে তার অধীনে ৷প্রত্যেক জেলায় প্রতিনিধি গঠন করতে হবে ৷ জেলা প্রতিনিধির দায়িত্ব থাকবে ঐ জেলার জ্ঞানী গুণী সাহিত্যিক ও পাঠপ্রিয় লোকদের পারিবারিক পাঠাগার থেকে শুরু করে মহল্লা, থানা জিলাভিত্তিক সকল নতুন পুরাতন পাঠাগার থেকে দুর্লভ গ্রন্থাদি সংগ্রহ করে হেড অফিসে জমা দেয়া ৷ পুনরায় তা প্রকাশের ব্যবস্থা করা ৷বা pdf করে অনলাইনে ছেড়ে দেয়া হবে ৷আর যদি একটি ইলেক্ট্রিক লাইব্রেরী জাতিকে উপহার দিতে পারি তাহলে তা হবে সময়ের সবচেয়ে উপযোগী পদক্ষেপ ৷ এভাবে একটি কাজ আমাদের নিয়ে যাবে অনেক দূর ৷ যা আমাদের নবীন প্রজন্মকে নতুন ভাবে জাগতে সহায়তা করবে ৷ হে তারুণ্যদীপ্ত যুবক! জাতি তোমার অপেক্ষায় ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
লেখকঃ নাসীরুদ্দীন সা’দ